Skip to main content

এস.এস.সি-২০২১ পরীক্ষার্থীদের এ্যাসাইনসেন্ট লেখার কিছু দিকনির্দেশনা


 👉 কিভাবে একটা এ্যাসাইনমেন্ট শুরু করবে?

প্রয়োজনীয় সামগ্রীঃ

  • ১।একটি স্কেল
  • ২। একটি পেন্সিল
  • ৩। একটি কালো বলপয়েন্ট কলম
  • ৪। A4 সাইজের কিছু কাগজ নাও


লেখার নিয়মঃ

  • ১। A4 সাইজের কাগজের একপাশে লিখবে (কোনো ক্রমেই উভয় পাশে লিখবে না)
  • ২। স্পষ্ট করে লেখার চেষ্টা করবে
  • ৩। লেখার ভিতরে কাটা-কাটি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে
  • ৪। প্রশ্নের সিরিয়াল (১,২,৩...../ক,খ,গ.....) ঠিকরেখে লিখবে


  👉 পেইজ কিভাবে পুরণ করবেঃ

  কাভার পেইজে তিনটা অংশ আছে

  • ১। প্রথম অংশ শিক্ষার্থী পূরণ করবে 
  • ২। দ্বিতীয় অংশ মূল্যায়নকারী শিক্ষক পূরণ করবে
  • ৩। তৃতীয় অংশ প্রতিষ্ঠান পূরণ করবে 

** মনে রাখতে হবে কাভার পেইজ এর তিনটা অংশই ইংরেজীতে পূরণ করতে হবে।


এ্যাসাইনমেন্টের যে অংশ শিক্ষার্থীগন পূরণ করবে তার প্রথমেই আছে এ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বর 

 এ্যাসাইনমেন্টের ক্রমিক নম্বরঃ

তুমি যে এ্যাসাইনমেন্টেটি তৈরি করবে, সেই বিষয়ের প্রথম ঘরেই ক্রমিক নম্বর দেওয়া আছে। "বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা"  প্রশ্নে দেখো এর প্রথম ঘরেই এ্যাসাইনমেন্ট নম্বর ১ লেখা আছে । তাহলে তুমি ক্রমিক নম্বরে লিখবে, ১। কারণ তুমি ১ নম্বর শুরু  করছো‌। যদি ২ হয়,তাহলে লিখবে ২। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 শিরোনামঃ তুমি যদি "বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা" শুরু করো, তাহলে শিরোনাম পয়েন্টে লেখা আছে, ' ইতিহাস পরিচিতি '। কাজেই তোমার শিরোনামে এই লেখাটি লিখতে হবে। 


 বিষয় কোড ও বিষয়ের নামঃ এটা তোমার এ্যাসাএনমেন্টে এবং তোমার রেজিস্ট্রেশন কার্ডে লেখা আছে।" বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা" হলে লিখবে বিষয় কোড "153"।  (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)

বিষয়ের নামঃ "বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা"


 শিক্ষাবোর্ডের নামঃ এখানে শুধু জেলার নাম লিখবে না । যেমন (ঢাকা / যশোর / রাজশাহী)।  বরং তুমি লিখবে (Dhaka Board/ Jashore Board / Rajsahi Board)। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 রেজিষ্ট্রেশন নম্বরঃ  এটা তোমার এস.এস.সি এর রেজিষ্ট্রেশন কার্ড থেকে দেখে খুব সতর্কতার সহিত লিখবে যেনো কোনো প্রকার ভুল না হয়। তোমার জে.এস.সি রেজিষ্ট্রেশন দেখে লিখলেও হবে কারণ জে.এস.সি এবং এস.এস.সি একই রেজিষ্ট্রেশন নম্বর। (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 শিক্ষার্থীর নামঃ তোমার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে তোমার নাম লিখবে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে যেভাবে তোমার নামের বানান লেখা আছে ঠিক সে ভাবে লিখবে । (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 পিতার নামঃ তোমার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে তোমার পিতার নাম লিখবে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে যেভাবে নামের বানান লেখা আছে ঠিক সে ভাবে লিখবে । (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 মাতার নামঃ তোমার রেজিষ্ট্রেশন কার্ড দেখে তোমার মাতার নাম লিখবে রেজিষ্ট্রেশন কার্ডে যেভাবে নামের বানান লেখা আছে ঠিক সে ভাবে লিখবে । (এটা ইংরেজীতেই লিখবে)


 কাভার পেইজে তোমার কাজ শেষ। আর কোথাও তোমার হাত দেওয়ার প্রয়োজন নাই!


 👉 কিভাবে এ্যাসাইনমেন্ট লেখা শুরু করবোঃ 

এবার এসো A4 সাইজ পেইজ নিয়ে পেন্সিল দিয়ে সুন্দর করে মার্জিন করে ফেলি। কালো বলপয়েন্ট কলম দিয়ে লেখা শুরু করি। "এ্যাসাইনসেন্ট -০১" লিখে নিচে প্রথমে "ক" শেষ করে  তারপর "খ" তারপর "গ" ধারাবাহিকভাবে আমরা পেইজের একপাশেই লিখি। অন্য পাশে খালি রাখি। একটা দাগ বা পেইজের পাশে কোনো ফুল বা পাপড়ি আঁকার প্রয়োজন নাই  । 

  👉 অ্যাসাইনমেন্টে উত্তর লেখার ক্ষেত্রে কালো বলপয়েন্ট ছাড়া অন্য কোনো কালারিং পেন ব্যবহার না করাই ভালো।

লেখা শেষ হলে পূরণ করা কাভার পেইজের সাথে এই লেখাগুলো পিনআপ করে নাও। তোমার একটা অ্যাসাইনমেন্টের হয়ে গেলো।

এভাবে এ্যাসাইনমেন্টগুলো তৈরী কর।

© হাবলু হাসান চৌধুরী,                                             সহকারী শিক্ষক, ভাটি বাংলা হাই স্কুল,গাগলাজুর

Comments

Popular posts from this blog

"পাহাড়ি জাতীয়তাবাদ ও নারী প্রশ্ন" প্রসঙ্গেঃ

  উইমেন চ্যাপ্টারে প্রকাশিত ডালিয়া চাকমার লেখা   মুল লেখার লিংক ,👉  এখানে ঢাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক দূরে! এই দূরত্ব-টা বুজতে মগজ লাগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে কিংবা আপনাকে গালি দেওয়া, হ্যারাসমেন্ট করা! এইসব কিন্তু পাহাড় পর্যন্ত পৌছায় না। পৌঁছালেও আপনি কিংবা আমি পাহাড়ের মানুষের কাছে মূল্যহীন। তাঁদের কাছে জীবন সংগ্রাম ই মুখ্য! আমি আপনি তুচ্ছ। আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে আর আপনারা যারা  ভিতর থেকে না দেখে সবকিছুই এক-কেন্দ্রিক ভাবেন! আমি মনে করি আপনারা সবাই এক গোত্রের প্রানী।  আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে কিংবা হ্যারাসমেন্ট করছে এক সময় এই বর্বর প্রাণীদের সমাজিকভাবেই শাস্তি দেওয়া হত। যখন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র শাসন শুরু করল তখন থেকেই এরাও শক্তিশালী হয়ে উঠে। পাহাড়ের সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতা হাড়িয়ে যেতে থাকে। অনুরোধ থাকল, যদি সময় হয় জুম ঘরে কিংবা যারা জুম চাষ করে তাঁদের সাথে কয়েক দিন থেকে আছেন। যান্ত্রিক সভ্যতা আর পাহাড়ের সংস্কৃতি আকাশ-পাতাল তফাৎ। এইটা বুজে নেওয়ার দায়িত্ব নিজের আর কারোর নয়। আগে নিজেকে জানুন, আপনি কোথায় থেকে এসেছেন, আপনার আইডেন্টিটি কি? আপনার সংস্কৃতি ...

শীল সম্পর্কে বিস্তারিত

          *** প্রাণী হত্যা মহা পাপ,                   প্রাণী হত্যা হতে বিরত থাকুন।                    উ গুণবদ্ধন পঞ্ঞা মহাথের। ( রাম জাদী)  শীল হচ্ছে আদি কল্যাণ, "সব্ব পাপস্স অকরণং" অর্থাৎ সর্ব প্রকার পাপক্রিয়া বর্জন। পাপক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় কায়ে, বাক্যে ও মনে। যা দ্বারা মন কলুষিত হয়। কিন্তু শীলের লক্ষ্য হচ্ছে পাপের পঙ্কিল পথ পরিহার করে চরিত্রকে শুদ্ধ ও সুন্দর করা। ধর্ম জীবনের বিকাশে, জীবনের পরম কল্যাণ লাভের পথে শীল বা চারিত্রিক শুদ্ধতা প্রথম প্রদক্ষেপ। পঞ্চশীলকে সবসময় সকল মানুষের পরিধানকৃত বস্ত্রের মত নিত্য পালনীয় বলে নিত্যশীল বলা হয়। কিকীব অন্ডং চমরীব বালধিং, পিয়ং বা পুত্তং নয়নং ব এককং, তথেব সীলং অনুরক্খমানকা, সুপেসলা হোথ সদা সগারবতি। কিকী পক্ষী যেমন অন্ড রক্ষা করে, চমরীগাই যেমন স্বীয় লেজ রক্ষা করে, মাতা যেমন এক মাত্র প্রিয় পুত্র এবং কানা যেমন এক চক্ষু সযত্নে রক্ষা করে তেমন শীল অনুক্ষণ রক্ষা উচিত। আজ অষ্ট শীলের প্রথম শীল সম্পর্কে আলোকপাত করব। *...

কাল পুরুষ

  এটি উত্তরাধিকার ও কালবেলা উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ ধরে লেখা আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস। কালবেলা উপন্যাসে অনিমেষ যে ফসল বুনেছিল এই উপন্যাসে তা চারা গাছ হয়ে একটু একটু করে বড় হতে থাকে! অনিমেষ আর মাধবীলতার ভালোবাসার ফসল অর্ক। নামটা মাধবীলতার দেয়া। তাদের নিস্তব্ধ জীবনের সূর্য যেন অর্ক। পঙ্গু স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বস্তির এক বাড়িতে মাধবীলতার বাস! পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে সব সময় কি একটা ভয়ে থাকে মাধবীলতা! বস্তিতে থাকার মাশুল অবশ্য দিতে হয় তাদের। স্কুল আর ঋণের চাপে জর্জরিত মাধবীলতা আর পুলিশের অত্যাচারে পঙ্গু অসহায় অনিমেষের শত সতর্কতার পরও অর্ক আস্তে আস্তে বস্তির পরিবেশে আসক্ত হয়ে পরে। কিলা, খুরকি, বিলা এরাই হয়ে ওঠে অর্কর নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে অন্য একটা ঘটনায় সমাজের উচু তলার কিছু মানুষগুলোর আসল চেহারাটা সামনে আসে অর্কর। ঘটনার তীব্রতায় জ্বর চলে আসে তার। এতবড় ছেলে মায়ের আচলে মুখ গুজে খালি বলে চলে বমি পাচ্ছে মা। কতটা নোংরা কদর্যতা দেখলে একটা ছেলে এমন কথা বলতে পারে এইসব ভেবে তীব্র প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে ওঠে অর্ক। নিজের সাথে নিজেই প্রতিজ্ঞা করে সমাজের এসব অসঙ্গতির সাথে কখনোই তাল মেলাবে না। তারপর তাকে ব...