Skip to main content

MLM (multi level marketing) কি?


👉এটির অপর নাম নেটওয়ার্ক মার্কেটিং। এটি দু উপায়ে ব্যবসা দাঁড় করাই। এক. একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের টাকা দিয়ে মানুষ টু মানুষ রেফার করে। দুই. পণ্য বেচাকেনার মাধ্যমে ও হয়ে থাকে। যেই এমএলএম কোম্পানিগুলো শুধু মানুষ রিক্রুটের মাধ্যমে আপনাকে কিছু টাকা দিতে চায়- সেগুলো অনেকটা আপনার টাকা দিয়ে আপনাকে হালের গরু বানায়। কিভাবে?
- আপনি ১২০০ টাকা দিয়ে মেম্বার হলেন। সেপর কোম্পানি বলবে আপনাকে দুজন শিষ্য আনতে হবে - তারা হবে; ডান এবং বাম। ডান ১২০০ টাকা + বাম১২০০ টাকা = ২৪০০ টাকা দিয়ে আপনার দুজন শিষ্য হলো। সেই ২৪০০ টাকা হতে আপনাকে ২০℅ করে কোম্পানি দেবে যা টোটাল ৪৪০ টাকা আর বাকী ১৯৬০ টাকা হতে আপনার উপরের অন্য বসদের দেয়া হবে ২~৩~৪℅ হারে। সবমিলিয়ে দুজন হতে কোম্পানির লাভ থাকবে ১০০০ টাকা প্লাস। আপনার যে দুজন শিষ্য হবে, আপনি তাদেরকে শিষ্য বানাতে চাপ দিবেন নতুবা আপনার বস আপনাকে চাপ দেবে অন্য ডান - বাম শিষ্য তুলতে। এভাবে আপনি ধরুন ১০০০ জন শিষ্য খুজেঁ পেলেন। তখন শিষ্যদের টোটাল টাকা হবে ১২০০x১০০০ = ১২০০০০০ টাকা। এই টাকা হতে কোম্পনির লাভ হবে ৫০০x১০০০= ৫০০০০০ টাকা বাকী টাকাগুলো কোম্পানি অন্যান্য শিষ্যদের ভাগ করে দেবে।
- এভাবে যেতে যেতে কোন একদিন শিষ্য বানানো টার্গেট ২-৫ লক্ষজন পরিপূর্ণ হলে কোম্পানি বিলুপ্ত হবে। বিলুপ্ত হলে সেসময় শেষান্তে যারা সদস্য হিসেবে আসবে তারা এক টাকা ও কোম্পানি হতে পাবে না। কোম্পানি তখন কমপক্ষে কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে।
- তাই এমএলএম ব্যবসা হলো সম্পূর্ণ বাটপারি ব্যবসা। এ সম্পর্কে অভিজ্ঞ হলেন শিপন ও
Sabiran Chakma । তারা আপনাকে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন।
- যারা এই বাটপারি ব্যবসাতে টাকা দিয়েছেন তাদের বলি কেউ কাউকে মাগনা টাকা দেয় না। বাটপারিরা নিজেদের লাভের জন্য এই ব্যবসার কোম্পানি করে বা খুলে বসেছে। আপনাকে মিনিটে মিনিটে লক্ষ ও কোটি টাকার স্বপ্ন দেখাবে। তাই এই মিথ্যা লোভে আকৃষ্ট না হয়ে সেই ১২০০ টাকা দিয়ে ৩০ টি মুরগি বাচ্চা কিনুন। ৬-৭ মাসে ৩০ x ৩৫০ = ১০৫০০ টাকা পাবেন। সেই টাকাগুলো দিয়ে আরো ১০০ টি মুরগি কিনুন। নতুবা সেই বাটপারি কোম্পানিগুলোকে ভালেদ না করে ১০০ জনে একটি সমিতি খুলুন। প্রত্যকে ১২০০ করে জমা দিন।
- বি:দ্র: পোস্টটি ভালো লাগলে কপি পেস্ট করুন। পাবলিক করছি না তাদের একটি সেন্ডিকেট আছে যারা এ ব্যাপারে লিখলে আইডি রিপোর্ট মারে।

Comments

Popular posts from this blog

"পাহাড়ি জাতীয়তাবাদ ও নারী প্রশ্ন" প্রসঙ্গেঃ

  উইমেন চ্যাপ্টারে প্রকাশিত ডালিয়া চাকমার লেখা   মুল লেখার লিংক ,👉  এখানে ঢাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক দূরে! এই দূরত্ব-টা বুজতে মগজ লাগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে কিংবা আপনাকে গালি দেওয়া, হ্যারাসমেন্ট করা! এইসব কিন্তু পাহাড় পর্যন্ত পৌছায় না। পৌঁছালেও আপনি কিংবা আমি পাহাড়ের মানুষের কাছে মূল্যহীন। তাঁদের কাছে জীবন সংগ্রাম ই মুখ্য! আমি আপনি তুচ্ছ। আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে আর আপনারা যারা  ভিতর থেকে না দেখে সবকিছুই এক-কেন্দ্রিক ভাবেন! আমি মনে করি আপনারা সবাই এক গোত্রের প্রানী।  আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে কিংবা হ্যারাসমেন্ট করছে এক সময় এই বর্বর প্রাণীদের সমাজিকভাবেই শাস্তি দেওয়া হত। যখন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র শাসন শুরু করল তখন থেকেই এরাও শক্তিশালী হয়ে উঠে। পাহাড়ের সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতা হাড়িয়ে যেতে থাকে। অনুরোধ থাকল, যদি সময় হয় জুম ঘরে কিংবা যারা জুম চাষ করে তাঁদের সাথে কয়েক দিন থেকে আছেন। যান্ত্রিক সভ্যতা আর পাহাড়ের সংস্কৃতি আকাশ-পাতাল তফাৎ। এইটা বুজে নেওয়ার দায়িত্ব নিজের আর কারোর নয়। আগে নিজেকে জানুন, আপনি কোথায় থেকে এসেছেন, আপনার আইডেন্টিটি কি? আপনার সংস্কৃতি ...

শীল সম্পর্কে বিস্তারিত

          *** প্রাণী হত্যা মহা পাপ,                   প্রাণী হত্যা হতে বিরত থাকুন।                    উ গুণবদ্ধন পঞ্ঞা মহাথের। ( রাম জাদী)  শীল হচ্ছে আদি কল্যাণ, "সব্ব পাপস্স অকরণং" অর্থাৎ সর্ব প্রকার পাপক্রিয়া বর্জন। পাপক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় কায়ে, বাক্যে ও মনে। যা দ্বারা মন কলুষিত হয়। কিন্তু শীলের লক্ষ্য হচ্ছে পাপের পঙ্কিল পথ পরিহার করে চরিত্রকে শুদ্ধ ও সুন্দর করা। ধর্ম জীবনের বিকাশে, জীবনের পরম কল্যাণ লাভের পথে শীল বা চারিত্রিক শুদ্ধতা প্রথম প্রদক্ষেপ। পঞ্চশীলকে সবসময় সকল মানুষের পরিধানকৃত বস্ত্রের মত নিত্য পালনীয় বলে নিত্যশীল বলা হয়। কিকীব অন্ডং চমরীব বালধিং, পিয়ং বা পুত্তং নয়নং ব এককং, তথেব সীলং অনুরক্খমানকা, সুপেসলা হোথ সদা সগারবতি। কিকী পক্ষী যেমন অন্ড রক্ষা করে, চমরীগাই যেমন স্বীয় লেজ রক্ষা করে, মাতা যেমন এক মাত্র প্রিয় পুত্র এবং কানা যেমন এক চক্ষু সযত্নে রক্ষা করে তেমন শীল অনুক্ষণ রক্ষা উচিত। আজ অষ্ট শীলের প্রথম শীল সম্পর্কে আলোকপাত করব। *...

কাল পুরুষ

  এটি উত্তরাধিকার ও কালবেলা উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ ধরে লেখা আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস। কালবেলা উপন্যাসে অনিমেষ যে ফসল বুনেছিল এই উপন্যাসে তা চারা গাছ হয়ে একটু একটু করে বড় হতে থাকে! অনিমেষ আর মাধবীলতার ভালোবাসার ফসল অর্ক। নামটা মাধবীলতার দেয়া। তাদের নিস্তব্ধ জীবনের সূর্য যেন অর্ক। পঙ্গু স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বস্তির এক বাড়িতে মাধবীলতার বাস! পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে সব সময় কি একটা ভয়ে থাকে মাধবীলতা! বস্তিতে থাকার মাশুল অবশ্য দিতে হয় তাদের। স্কুল আর ঋণের চাপে জর্জরিত মাধবীলতা আর পুলিশের অত্যাচারে পঙ্গু অসহায় অনিমেষের শত সতর্কতার পরও অর্ক আস্তে আস্তে বস্তির পরিবেশে আসক্ত হয়ে পরে। কিলা, খুরকি, বিলা এরাই হয়ে ওঠে অর্কর নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে অন্য একটা ঘটনায় সমাজের উচু তলার কিছু মানুষগুলোর আসল চেহারাটা সামনে আসে অর্কর। ঘটনার তীব্রতায় জ্বর চলে আসে তার। এতবড় ছেলে মায়ের আচলে মুখ গুজে খালি বলে চলে বমি পাচ্ছে মা। কতটা নোংরা কদর্যতা দেখলে একটা ছেলে এমন কথা বলতে পারে এইসব ভেবে তীব্র প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে ওঠে অর্ক। নিজের সাথে নিজেই প্রতিজ্ঞা করে সমাজের এসব অসঙ্গতির সাথে কখনোই তাল মেলাবে না। তারপর তাকে ব...