Skip to main content

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন দাখিলের জন্য করণীয়ঃ

২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির
আবেদন দাখিলের জন্য করণীয়ঃ
(ক) নিন্মলিখিত নিয়মে আবেদন Submit করতে হবে।
১. টেলিটক/বিকাশ/শিওরক্যাশ/নগদ/
সোনালী ব্যাংক এর আবেদন ফি ১৫০/- টাকা জমা দেওয়ার পর আবেদনকারীকে নির্ধারিত website-এ ( www.xiclassadmi
ssion.gov.bd ) যেয়ে “Apply Online” Button -এ ক্লিক করতে হবে;এরপর প্রদর্শিত তথ্য ছকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পাসের রোল নম্বর, বোর্ড ও পাসের সন এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হবে। আবেদনকারীর দেয়া তথ্য সঠিক হলে তিনি তার ব্যক্তিগত তথ্য ও এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত GPA দেখতে পাবেন।
২. এরপর শিক্ষার্থীর Contact Number (ফি প্রদানের সময় প্রদত্ত মোবাইল নম্বর) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কোটা দিতে হবে।
৩. অতঃপর তাঁকে ভর্তিচ্ছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রুপ, শিফট এবং ভার্সন Select করতে হবে। এভাবে শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি (ইন্টারনেট এবং SMS উভয় পদ্ধতি মিলে) সর্বমোট কলেজ/মাদরাসা Select করতে পারবে। এই ফরমে আবেদনকারী তাঁর সকল আবেদনের পছন্দক্রমও নির্ধারণ করতে পারবে।
৪. এরপর আবেদনকারী “Preview Application” Button-এ ক্লিক করলে তার আবেদনকৃত কলেজসমূহের তথ্য ও পছন্দক্রম দেখতে পারবেন।
৫. Preview-এ দেখানো তথ্যসমূহ সঠিক থাকলে আবেদনকারী “Submit” Button-এ ক্লিক করবেন।
৬. আবেদনটি সফলভাবে Submit করা হলে আবেদনকারী তাঁর প্রদত্ত Contact Number-এর মোবাইলে একটি নিশ্চিতকরণ SMS পাবেন এবং যাতে একটি সিকিউরিটি কোড (Security Code) থাকবে। এই Security Code টি গোপনীয়তা ও সতর্কতার সাথে সংরক্ষণ করতে হবে, যা পরবর্তীতে আবেদন সংশোধন ও ভর্তি সংক্রান্ত কাজে ব্যবহার করতে হবে।
৭. আবেদনকারী চাইলে তাঁর আবেদনসমূহের তথ্যাদিসহ উক্ত ফরমটি Download করে প্রিন্ট (Print) নিতে পারবেন।
(খ) উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী এসএসসি/সমমান পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ড, পাসের সন ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর সঠিকভাবে এন্ট্রি দেয়ার পরও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত তথ্য ও এসএসসি পরীক্ষার GPA দেখতে না পেলে, তাঁকে আবেদন ফি ১৫০/- (একশত পঞ্চাশ টাকা) জমা দেয়ার Transaction ID টি এন্ট্রি দিতে হবে এবং ফি প্রদানের জন্য তিনি যেই অপারেটর (অর্থাৎ টেলিটক/বিকাশ/
শিওরক্যাশ/গ্রামীণফোন) ব্যবহার করেছে তাকে Select করতে হবে। পরবর্তীতে ৩০ মিনিট পর ইন্টারনেটে আবেদন করার জন্য পূর্বে উল্লেখিত পদ্ধতিতে অনুসরণ করতে হবে।
★ কোটা (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)ঃ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানদের জন্য কোটায় (FQ) ভর্তি হতে ইচছুক শিক্ষার্থী তথ্য-ছকের নিদিষ্ট স্থানে FQ কোটা Select করবেন। কোটায় আবেদনের ক্ষেত্রে যথাযথ কতৃপক্ষের ইস্যুকৃত মূল সনদপত্র থাকতে হবে এবং পরবর্তীতে কলেজ/ মাদ্রাসা কর্তৃক যাচাইকরণ হবে বিধায় কোটার অপশন দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
★ পছন্দক্রম পরিবর্তনঃ একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) বার ইন্টারনেটে ঢুকে কলেজের পছন্দক্রম এবং কলেজ পরিবর্তন করতে পারবে।
★ যারা ভর্তি হতে পারবেঃ ২০১৮,২০১৯ ও ২০২০ সালের এসএসসি উত্তীর্ণরাও ছাড়া বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৮,২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়স হবে সর্বোচ্চ ২২ বছর।
★ আবেদন পদ্ধতিঃ শুধুমাত্র অনলাইন এ আবেদন করা যাবে।
★ আবেদনের সময়সীমাঃ আবেদন প্রক্রিয়া ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২০ আগস্ট পর্যন্ত।
★ ১ম মেধা তালিকার ফলাফল প্রকাশঃ ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের ১ম মেধাক্রম ২৫ আগস্ট রাত ৮ঃ০০ টায় এসএমএস এবং স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ড বা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
★ শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ১ম পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ২৬ থেকে ৩০ আগস্ট রাত ৮ঃ০০ পর্যন্ত
★ ২য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ৩১ আগস্ট থেকে ০২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (যেসকল শিক্ষার্থী ইতিপূর্বে ভর্তির জন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত (Selected) হয়নি –তারা কোন প্রকার ফি প্রদান ছাড়াই তাদের আবেদন update (নতুন কলেজ সংযোজন/বিয়োজন) করতে পারবে। যারা ইতিপূর্বে ভর্তির জন্য আবেদন করেনি অথবা ভর্তির জন্য নির্বাচিত (Selected) হয়েও ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি –তারা আবেদন ফি ১৫০ টাকা (Teletalk / Rocket / Surecash এর মাধ্যমে) জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবে এবং যারা পূর্বে আবেদন ফি জমা দিয়েছে কিন্তু আবেদন করেনি, তারা ও আবেদন করতে পারবে।)
★ পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ ০৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮ঃ০০ টায়
★ ২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ২য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ০৫ থেকে ০৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ঃ০০ টা পর্যন্ত।
★ ৩য় পর্যায়ের আবেদনের সময়সীমাঃ ০৭ থেকে ০৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
★ পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশঃ ১০ সেপ্টেম্বর । (রাত ৮:০০ টায়)
★ ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশঃ ১০ সেপ্টেম্বর । (রাত ৮:০০ টায়)
★ ৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর Selection নিশ্চায়ন (শিক্ষার্থী নিশ্চিত না করলে ৩য় পর্যায়ের Selection এবং আবেদন বাতিল হবে): ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮ঃ০০টা পর্যন্ত
★ ভর্তির সময়সীমাঃ ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
★ সর্বনিম্ন ৫ টি এবং সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজে আবেদন করতে পারবে।
★ Payment Operator:
Nagad, Sonali Bank, Teletalk, bKash, Sure Cash, Rocket.
★ মেধা ও পছন্দক্রম অনুসারে শিক্ষার্থী নির্দিষ্ট কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হবে।

Comments

Popular posts from this blog

"পাহাড়ি জাতীয়তাবাদ ও নারী প্রশ্ন" প্রসঙ্গেঃ

  উইমেন চ্যাপ্টারে প্রকাশিত ডালিয়া চাকমার লেখা   মুল লেখার লিংক ,👉  এখানে ঢাকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম অনেক দূরে! এই দূরত্ব-টা বুজতে মগজ লাগে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা হচ্ছে কিংবা আপনাকে গালি দেওয়া, হ্যারাসমেন্ট করা! এইসব কিন্তু পাহাড় পর্যন্ত পৌছায় না। পৌঁছালেও আপনি কিংবা আমি পাহাড়ের মানুষের কাছে মূল্যহীন। তাঁদের কাছে জীবন সংগ্রাম ই মুখ্য! আমি আপনি তুচ্ছ। আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে আর আপনারা যারা  ভিতর থেকে না দেখে সবকিছুই এক-কেন্দ্রিক ভাবেন! আমি মনে করি আপনারা সবাই এক গোত্রের প্রানী।  আপনাকে যারা গালি দিচ্ছে কিংবা হ্যারাসমেন্ট করছে এক সময় এই বর্বর প্রাণীদের সমাজিকভাবেই শাস্তি দেওয়া হত। যখন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র শাসন শুরু করল তখন থেকেই এরাও শক্তিশালী হয়ে উঠে। পাহাড়ের সামাজিক বা রাজনৈতিক ক্ষমতা হাড়িয়ে যেতে থাকে। অনুরোধ থাকল, যদি সময় হয় জুম ঘরে কিংবা যারা জুম চাষ করে তাঁদের সাথে কয়েক দিন থেকে আছেন। যান্ত্রিক সভ্যতা আর পাহাড়ের সংস্কৃতি আকাশ-পাতাল তফাৎ। এইটা বুজে নেওয়ার দায়িত্ব নিজের আর কারোর নয়। আগে নিজেকে জানুন, আপনি কোথায় থেকে এসেছেন, আপনার আইডেন্টিটি কি? আপনার সংস্কৃতি ...

শীল সম্পর্কে বিস্তারিত

          *** প্রাণী হত্যা মহা পাপ,                   প্রাণী হত্যা হতে বিরত থাকুন।                    উ গুণবদ্ধন পঞ্ঞা মহাথের। ( রাম জাদী)  শীল হচ্ছে আদি কল্যাণ, "সব্ব পাপস্স অকরণং" অর্থাৎ সর্ব প্রকার পাপক্রিয়া বর্জন। পাপক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় কায়ে, বাক্যে ও মনে। যা দ্বারা মন কলুষিত হয়। কিন্তু শীলের লক্ষ্য হচ্ছে পাপের পঙ্কিল পথ পরিহার করে চরিত্রকে শুদ্ধ ও সুন্দর করা। ধর্ম জীবনের বিকাশে, জীবনের পরম কল্যাণ লাভের পথে শীল বা চারিত্রিক শুদ্ধতা প্রথম প্রদক্ষেপ। পঞ্চশীলকে সবসময় সকল মানুষের পরিধানকৃত বস্ত্রের মত নিত্য পালনীয় বলে নিত্যশীল বলা হয়। কিকীব অন্ডং চমরীব বালধিং, পিয়ং বা পুত্তং নয়নং ব এককং, তথেব সীলং অনুরক্খমানকা, সুপেসলা হোথ সদা সগারবতি। কিকী পক্ষী যেমন অন্ড রক্ষা করে, চমরীগাই যেমন স্বীয় লেজ রক্ষা করে, মাতা যেমন এক মাত্র প্রিয় পুত্র এবং কানা যেমন এক চক্ষু সযত্নে রক্ষা করে তেমন শীল অনুক্ষণ রক্ষা উচিত। আজ অষ্ট শীলের প্রথম শীল সম্পর্কে আলোকপাত করব। *...

কাল পুরুষ

  এটি উত্তরাধিকার ও কালবেলা উপন্যাসের ঘটনা প্রবাহ ধরে লেখা আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস। কালবেলা উপন্যাসে অনিমেষ যে ফসল বুনেছিল এই উপন্যাসে তা চারা গাছ হয়ে একটু একটু করে বড় হতে থাকে! অনিমেষ আর মাধবীলতার ভালোবাসার ফসল অর্ক। নামটা মাধবীলতার দেয়া। তাদের নিস্তব্ধ জীবনের সূর্য যেন অর্ক। পঙ্গু স্বামী ও ছেলেকে নিয়ে বস্তির এক বাড়িতে মাধবীলতার বাস! পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে সব সময় কি একটা ভয়ে থাকে মাধবীলতা! বস্তিতে থাকার মাশুল অবশ্য দিতে হয় তাদের। স্কুল আর ঋণের চাপে জর্জরিত মাধবীলতা আর পুলিশের অত্যাচারে পঙ্গু অসহায় অনিমেষের শত সতর্কতার পরও অর্ক আস্তে আস্তে বস্তির পরিবেশে আসক্ত হয়ে পরে। কিলা, খুরকি, বিলা এরাই হয়ে ওঠে অর্কর নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে অন্য একটা ঘটনায় সমাজের উচু তলার কিছু মানুষগুলোর আসল চেহারাটা সামনে আসে অর্কর। ঘটনার তীব্রতায় জ্বর চলে আসে তার। এতবড় ছেলে মায়ের আচলে মুখ গুজে খালি বলে চলে বমি পাচ্ছে মা। কতটা নোংরা কদর্যতা দেখলে একটা ছেলে এমন কথা বলতে পারে এইসব ভেবে তীব্র প্রতিবাদে মুখরিত হয়ে ওঠে অর্ক। নিজের সাথে নিজেই প্রতিজ্ঞা করে সমাজের এসব অসঙ্গতির সাথে কখনোই তাল মেলাবে না। তারপর তাকে ব...